০৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অক্সফোর্ডের চাকরি ছেড়ে ব্র্যাকে এসে ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার খ্যাতিমান স্কলার!

ক্যাম্পাস ডেস্ক
  • প্রকাশিত: ০১:২০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • / 4477

অক্সফোর্ডের চাকরি ছেড়ে ব্রাকে এসে প্রতারনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাবেদ উবায়েদ

জাবের উবায়েদ এর টাইমলাইন থেকে,

সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমার সাথে বড় ধরনের একটি অন্যায় আচরণ করেছে। আমি স্কুল অব জেনারেল এডুকেশনে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে জয়েন করার জন্য আবেদন করি গত ফেব্রুয়ারিতে । দুই দফা ইন্টারভিউ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা ও সব প্রক্রিয়া শেষে কনফার্মেশন ইমেইল পাই ২৮ এপ্রিল। লেকচারার হিসেবে অফার লেটার পাই গত ৯ মে । জয়েনিং ডেট উল্লেখ করা হয় জুনের ১ তারিখ। আমার সাথে HR থেকে যিনি যোগাযোগ করছিলেন তার পরামর্শক্রমে আমি ইউকে থেকে দেশে ফেরার সার্বিক প্রস্তুতি নিতে থাকি।

আপনারা জানেন যে আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে Assessment Officer হিসেবে চাকরি করছিলাম গত মার্চ মাস থেকে। তবে দেশে আসতে চাচ্ছিলাম দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি কিছু অবদান রাখা যায় সে চিন্তা থেকে।

সেই HR অফিসারের সাথে আলাপের ভিত্তিতে আমি আমার অক্সফোর্ডের অফিসে মে মাসের শুরুতেই নোটিশ দেই । সে অনুযায়ী তারা আমার রিপ্লেসমেন্ট হায়ার করে গত ১৩ মে। আর আমি রিজাইন করি ১৪ মে। একই সাথে ২০ তারিখে দেশে আসার বিমানের টিকেটও বুক করি।

আমি যখন দেশে আসার সব প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি এর মধ্যে গত ১৫ মে একতরফাভাবে কোন কারণ না বলে আমার অফার লেটার সাসপেন্ড করে দেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ডে আমার রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে নেয়ায় আগের জবে জয়েন করার আর সুযোগ নাই। আমি ব্র্যাকের ফিরতি ইমেইলে কারণ জানতে চেয়েছি। এর কোন জবাব পাই নি।

আজ আবার জেনারেল এডুকেশনে স্কুলের ডীনের সাথে যোগাযোগ করলে আমায় HR এর নোটিশ ও জবাবের দিকে রেফার করেন। আর বিস্তারিত কারণ বলার প্রয়োজন বোধ করেন নি।

HR এর যে অফিসার আমার সাথে সবকিছু নিয়ে আলাপ করেছেন শুরু থেকে তিনিও অফার সাসপেন্ডের ইমেইলের কপিতে আছে। তার এ ব্যাপারের জানার কথা থাকলেও উনি বলছেন যে কিছু জানেন না। উনি যেন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন ও অসত্য বলছেন।

অফার লেটারে উল্লেখ ছিল যে জয়েনিং সন্তোষজনক ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের উপরে নির্ভর করবে। আমার বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নাই। আমার মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড ও সোস্যাল মিডিয়ায় টুকটাক লিখি। জুলাই কেন্দ্রিক একটিভিজমকে প্রমোট করি।

আমি ব্র্যাক থেকে আমার সেকেন্ড মাস্টার্স করেছি। সম্মানজনক শিভেনিং স্কলারশিপ পেয়ে বিশ্বের ১ নামার এডুকেশন স্কুল (টাইমস হায়ার এডুকেশন সাবজেক্ট র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী) Institute of Education, UCL এ পড়েছি। আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কর্মরতও ছিলাম। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ১ বছর কাজ করেছি Outreach Delivery Assistant এবং Assessment Officer হিসেবে। আমার বিভিন্ন সাকসেস স্টোরি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করেছে দুই বার।

তার পরেও আমার সাথে এমন একটি অন্যায্য একটি জঘন্য আচরণ করলো; সেটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।

আমি আর ব্র্যাকে জয়েন করবো না। কিন্তু এমন আচরণ তারা কিভাবে একজন মানুষের সাথে করতে পারে সেটা বুঝতে চাই। কিভাবে আমার যোগ্যতাকে, দক্ষতাকে অগ্রাহ্য করে আমার সাথে অন্যায় আচরণ করলো এর জবাব চাই।

আমার মতো একজনের সাথে এমন আচরণ করতে পারলে আরো কত মানুষের সাথে এমন হয় সেটা আমরা জানি না। এর প্রতিকার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে হতেই হবে।

শেয়ার করুন

অক্সফোর্ডের চাকরি ছেড়ে ব্র্যাকে এসে ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার খ্যাতিমান স্কলার!

প্রকাশিত: ০১:২০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

অক্সফোর্ডের চাকরি ছেড়ে ব্রাকে এসে প্রতারনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাবেদ উবায়েদ

জাবের উবায়েদ এর টাইমলাইন থেকে,

সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমার সাথে বড় ধরনের একটি অন্যায় আচরণ করেছে। আমি স্কুল অব জেনারেল এডুকেশনে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে জয়েন করার জন্য আবেদন করি গত ফেব্রুয়ারিতে । দুই দফা ইন্টারভিউ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা ও সব প্রক্রিয়া শেষে কনফার্মেশন ইমেইল পাই ২৮ এপ্রিল। লেকচারার হিসেবে অফার লেটার পাই গত ৯ মে । জয়েনিং ডেট উল্লেখ করা হয় জুনের ১ তারিখ। আমার সাথে HR থেকে যিনি যোগাযোগ করছিলেন তার পরামর্শক্রমে আমি ইউকে থেকে দেশে ফেরার সার্বিক প্রস্তুতি নিতে থাকি।

আপনারা জানেন যে আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে Assessment Officer হিসেবে চাকরি করছিলাম গত মার্চ মাস থেকে। তবে দেশে আসতে চাচ্ছিলাম দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি কিছু অবদান রাখা যায় সে চিন্তা থেকে।

সেই HR অফিসারের সাথে আলাপের ভিত্তিতে আমি আমার অক্সফোর্ডের অফিসে মে মাসের শুরুতেই নোটিশ দেই । সে অনুযায়ী তারা আমার রিপ্লেসমেন্ট হায়ার করে গত ১৩ মে। আর আমি রিজাইন করি ১৪ মে। একই সাথে ২০ তারিখে দেশে আসার বিমানের টিকেটও বুক করি।

আমি যখন দেশে আসার সব প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি এর মধ্যে গত ১৫ মে একতরফাভাবে কোন কারণ না বলে আমার অফার লেটার সাসপেন্ড করে দেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ডে আমার রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে নেয়ায় আগের জবে জয়েন করার আর সুযোগ নাই। আমি ব্র্যাকের ফিরতি ইমেইলে কারণ জানতে চেয়েছি। এর কোন জবাব পাই নি।

আজ আবার জেনারেল এডুকেশনে স্কুলের ডীনের সাথে যোগাযোগ করলে আমায় HR এর নোটিশ ও জবাবের দিকে রেফার করেন। আর বিস্তারিত কারণ বলার প্রয়োজন বোধ করেন নি।

HR এর যে অফিসার আমার সাথে সবকিছু নিয়ে আলাপ করেছেন শুরু থেকে তিনিও অফার সাসপেন্ডের ইমেইলের কপিতে আছে। তার এ ব্যাপারের জানার কথা থাকলেও উনি বলছেন যে কিছু জানেন না। উনি যেন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন ও অসত্য বলছেন।

অফার লেটারে উল্লেখ ছিল যে জয়েনিং সন্তোষজনক ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের উপরে নির্ভর করবে। আমার বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নাই। আমার মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড ও সোস্যাল মিডিয়ায় টুকটাক লিখি। জুলাই কেন্দ্রিক একটিভিজমকে প্রমোট করি।

আমি ব্র্যাক থেকে আমার সেকেন্ড মাস্টার্স করেছি। সম্মানজনক শিভেনিং স্কলারশিপ পেয়ে বিশ্বের ১ নামার এডুকেশন স্কুল (টাইমস হায়ার এডুকেশন সাবজেক্ট র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী) Institute of Education, UCL এ পড়েছি। আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কর্মরতও ছিলাম। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ১ বছর কাজ করেছি Outreach Delivery Assistant এবং Assessment Officer হিসেবে। আমার বিভিন্ন সাকসেস স্টোরি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করেছে দুই বার।

তার পরেও আমার সাথে এমন একটি অন্যায্য একটি জঘন্য আচরণ করলো; সেটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।

আমি আর ব্র্যাকে জয়েন করবো না। কিন্তু এমন আচরণ তারা কিভাবে একজন মানুষের সাথে করতে পারে সেটা বুঝতে চাই। কিভাবে আমার যোগ্যতাকে, দক্ষতাকে অগ্রাহ্য করে আমার সাথে অন্যায় আচরণ করলো এর জবাব চাই।

আমার মতো একজনের সাথে এমন আচরণ করতে পারলে আরো কত মানুষের সাথে এমন হয় সেটা আমরা জানি না। এর প্রতিকার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে হতেই হবে।