০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ সংকটে ভোগান্তিতে গণবিশ্ববিদ্যালয় এলাকার শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৬:০৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 60

মাহমুদুল হাসান, গবি প্রতিনিধিঃ

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ সময়ব্যাপী বিদ্যুৎহীনতার ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বিশ্রামে বিপর্যয় নেমেছে। প্রতিদিনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ধারা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।একইসঙ্গে ঘুম ও পানি সরবরাহ সংকট তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসিক সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঘোরাপির মাজার, এনায়েতপুর, ফুলেরটেক, খেজুরটেক ও পল্লিবিদ্যুৎ এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এসব এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা, পরীক্ষার প্রস্তুতি, এমনকি দৈনন্দিন জীবনযাপন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সাভার পল্লিবিদ্যুৎ হেড অফিসের কর্মকর্তা মো. সাহেত শাহজাদা জানান, “এই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধামরাই গ্রিড থেকে হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের প্রয়োজন ১৮ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ১১ থেকে ১২ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিড থেকে প্রয়োজনীয় সরবরাহ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারছি না।”

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হক বলেন, “লোডশেডিংয়ের নির্দিষ্ট সময়সূচি নেই। সন্ধ্যা বা রাত—যখন সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার সময়, তখনই বিদ্যুৎ চলে যায়। এখানে শুধু পড়াশোনার চাপই নয়, ঘুমের অভাবও আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন জানান, “আমি পল্লিবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি তুলে ধরে লোডশেডিং কমানোর জন্য অনুরোধ জানাব

শেয়ার করুন

বিদ্যুৎ সংকটে ভোগান্তিতে গণবিশ্ববিদ্যালয় এলাকার শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৬:০৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

মাহমুদুল হাসান, গবি প্রতিনিধিঃ

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ সময়ব্যাপী বিদ্যুৎহীনতার ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বিশ্রামে বিপর্যয় নেমেছে। প্রতিদিনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ধারা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।একইসঙ্গে ঘুম ও পানি সরবরাহ সংকট তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসিক সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঘোরাপির মাজার, এনায়েতপুর, ফুলেরটেক, খেজুরটেক ও পল্লিবিদ্যুৎ এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এসব এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা, পরীক্ষার প্রস্তুতি, এমনকি দৈনন্দিন জীবনযাপন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সাভার পল্লিবিদ্যুৎ হেড অফিসের কর্মকর্তা মো. সাহেত শাহজাদা জানান, “এই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধামরাই গ্রিড থেকে হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের প্রয়োজন ১৮ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ১১ থেকে ১২ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিড থেকে প্রয়োজনীয় সরবরাহ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারছি না।”

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হক বলেন, “লোডশেডিংয়ের নির্দিষ্ট সময়সূচি নেই। সন্ধ্যা বা রাত—যখন সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার সময়, তখনই বিদ্যুৎ চলে যায়। এখানে শুধু পড়াশোনার চাপই নয়, ঘুমের অভাবও আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন জানান, “আমি পল্লিবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি তুলে ধরে লোডশেডিং কমানোর জন্য অনুরোধ জানাব