মোঃ আনোয়ার হোসাইন
প্রতিনিধি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে সিলেট অ্যামাচার রেডিও অ্যাসোসিয়েশন (সারা) ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটি এর যৌথ উদ্যোগে গত ২০ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ‘অ্যামাচার রেডিও এওয়ারনেস’ কর্মশালা।

এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অ্যামাচার রেডিওর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে তরুণদের সচেতন করা ও তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

কর্মশালার শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় একটি উন্মুক্ত সেমিনার, যেখানে বক্তারা অ্যামাচার রেডিওর ব্যবহার, বিশেষ করে দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরি যোগাযোগ, স্যাটেলাইট ফ্রিকোয়েন্সি এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষায় এর কার্যকারিতা তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম. হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানের উদ্ভোদনী বক্তব্য প্রদান করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র হাম অপারেটর মেজর মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম । বক্তব্যে তিনি বলেন, “অ্যামাচার রেডিও কোনো শখ নয়, বরং এটি একটি জীবনরক্ষাকারী প্রযুক্তি। দুর্যোগ মুহূর্তে যখন সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন এই প্রযুক্তিই মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।”

কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক জন শিক্ষার্থী। তারা হাম রেডিও এবং স্যাটেলাইট ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহন করেন। এছাড়াও কর্মশালায় অংশ নেয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি রোভার স্কাউট গ্রুপ, বিএনসিসি প্লাটুন এবং ডিজাস্টার রেসপন্স ইউনিটের সদস্যরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী মুহাম্মদ মোকাম্মেল ওয়াহিদ, পরিচালক, আইকিউএসি ও প্রফেসর, সিএসই বিভাগ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “শিক্ষার লক্ষ্য শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়; আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো। অ্যামাচার রেডিও প্রযুক্তির মতো উদ্যোগ তরুণদের সমস্যা সমাধানকারী করে গড়ে তুলবে।”

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট অ্যামাচার রেডিও অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব সাকেরুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বক্তব্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামাচার রেডিও নিয়ে চর্চা করার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।যাতে এর মাধ্যমে তরুণরা প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে সমাজেও বয়ে আনতে পারে।

এই কর্মশালা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। অংশগ্রহণকারীরা বাস্তবমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।