০৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান সুযোগ নিশ্চিতে রুয়েট-আইইবির যৌথ উদ্যোগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১১:১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • / 168


প্রকৌশল খাতে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (IEB) যৌথভাবে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে।

২১ জুলাই, রবিবার আয়োজিত এই বৈঠকে অংশ নেন রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচ. এম. রাসেল, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সামিউল হাবিব এবং সিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. বদিউল ইসলাম।

বৈঠকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডিপ্লোমাধারীদের জন্য অতিরিক্ত কোটা ও অগ্রাধিকার নিয়ে উদ্ভূত বৈষম্য এবং এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা হয়। রুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল হক লিপু প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি উপস্থাপন করেন।

রুয়েট উপাচার্য বলেন, “যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ না দেওয়া অবিচার। নিম্নতর যোগ্যতাকে কৌশলে উচ্চতর যোগ্যতার সমতুল্য করা অনৈতিক। উচ্চ শিক্ষার অধিকারীদের ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক বলেন, “রুয়েট শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি যথাযথ ও যৌক্তিক। কিছু নিয়োগ দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে, যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।”

সাকিবুল হক লিপু জানান, “এই আন্দোলন আবেগ নয়, বরং বাস্তবতা ও ন্যায্যতার দাবি। এখনই সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার।”

আইইবি প্রতিনিধিরা রুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, “এটি শুধুমাত্র আইইবি নয়, বরং দেশের সব প্রকৌশলীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। রুয়েটসহ দেশের প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কারণে বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।”

আইইবি আশ্বস্ত করেছে:

  • নবম গ্রেডে অতিরিক্ত কোটা দিয়ে নিয়োগ পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে
  • ৩৩%-এর বেশি অনৈতিক কোটা বাতিলে সক্রিয় আলোচনা চলবে
  • যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে প্রকৌশল সমাজ গঠনে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সমাধান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে

বৈঠকে আইইবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী খান মনজুর মোরশেদ, অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা খান, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল ও প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী প্রমুখ।

শেয়ার করুন

শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান সুযোগ নিশ্চিতে রুয়েট-আইইবির যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১১:১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫


প্রকৌশল খাতে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (IEB) যৌথভাবে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে।

২১ জুলাই, রবিবার আয়োজিত এই বৈঠকে অংশ নেন রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচ. এম. রাসেল, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সামিউল হাবিব এবং সিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. বদিউল ইসলাম।

বৈঠকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডিপ্লোমাধারীদের জন্য অতিরিক্ত কোটা ও অগ্রাধিকার নিয়ে উদ্ভূত বৈষম্য এবং এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা হয়। রুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল হক লিপু প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি উপস্থাপন করেন।

রুয়েট উপাচার্য বলেন, “যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ না দেওয়া অবিচার। নিম্নতর যোগ্যতাকে কৌশলে উচ্চতর যোগ্যতার সমতুল্য করা অনৈতিক। উচ্চ শিক্ষার অধিকারীদের ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক বলেন, “রুয়েট শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি যথাযথ ও যৌক্তিক। কিছু নিয়োগ দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে, যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।”

সাকিবুল হক লিপু জানান, “এই আন্দোলন আবেগ নয়, বরং বাস্তবতা ও ন্যায্যতার দাবি। এখনই সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার।”

আইইবি প্রতিনিধিরা রুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, “এটি শুধুমাত্র আইইবি নয়, বরং দেশের সব প্রকৌশলীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। রুয়েটসহ দেশের প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কারণে বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।”

আইইবি আশ্বস্ত করেছে:

  • নবম গ্রেডে অতিরিক্ত কোটা দিয়ে নিয়োগ পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে
  • ৩৩%-এর বেশি অনৈতিক কোটা বাতিলে সক্রিয় আলোচনা চলবে
  • যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে প্রকৌশল সমাজ গঠনে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সমাধান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে

বৈঠকে আইইবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী খান মনজুর মোরশেদ, অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা খান, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল ও প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী প্রমুখ।