০৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিনা পরীক্ষায় ক্যাডার মর্যাদা? প্রকৌশল খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির ভয়াল থাবা

ক্যাম্পাস ডেস্ক
  • প্রকাশিত: ০৫:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / 3068

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে প্রকৌশল পদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে তীব্র অসন্তোষ। তাদের অভিযোগ, বিসিএস পদ্ধতির বাইরে প্রমোশনের মাধ্যমে ক্যাডার সমমর্যাদার পদে উত্তরণ ঘটছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের— যা প্রকৌশল পেশার ন্যায্যতা, মর্যাদা ও মেধা-নির্ভর নিয়োগ ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বর্তমানে সরকারি কাঠামোয় সহকারী প্রকৌশলী (৯ম গ্রেড) এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) নামে দুটি পদের প্রচলন রয়েছে। ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেডে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কয়েক বছরের মধ্যে ৯ম গ্রেডে প্রমোশন পাচ্ছেন, যেখানে বিসিএস পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দীর্ঘ প্রতিযোগিতা ও কঠোর পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই ব্যবস্থায় তারা প্রকৃত মেধার যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। ১০ম গ্রেডে আবেদন করতেও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি, বরং শতভাগ কোটা নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য। অথচ একই গ্রেডে অন্য যেকোনো পেশার নিয়োগে স্নাতক ডিগ্রি আবশ্যক।

বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, বিসিএস প্রকৌশল পদের সংখ্যা বছর বছর কমছে।
🔹 ৪৩তম বিসিএসে প্রকৌশলী পদ ছিল ১৭৩টি
🔹 ৪৪তমতে বেড়ে দাঁড়ায় ২৯১টি
🔹 ৪৫তম থেকে হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ১২৭টিতে
🔹 ৪৭তম বিসিএসে মাত্র ৪৬টি পদ বরাদ্দ রাখা হয়

গ্রাফ রিপ্রেজেন্টেশন ডাটা :

1000252634publician todayপাবলিকিয়ানpublician todayটুডেpublician today|publician todayবাংলাদেশpublician todayওpublician todayবিশ্বেরpublician todayসর্বশেষpublician todayসংবাদ

৩১তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০২ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ৩২, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০৪ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ২০, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ১১, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী – ০৩, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী – ০৪, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক – ০৪ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২৪, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৪ জনস্বাস্থ্য: সহকারী প্রকৌশলী – ১০ মোট – ১১৮
৩২ তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০৪ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২১, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০১ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০১, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী – ০২, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী – ০২ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ৩৬, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৭ জনস্বাস্থ্য: সহকারী প্রকৌশলী – ০৬ মোট – ৮০
৩৩ তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০৭ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০২, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০২ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০২ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ৩০, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৩ জনস্বাস্থ্য: সহকারী প্রকৌশলী – ১৩ মোট – ৫৯
৩৫তম বিসিএস
গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২৬, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৭ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০৬, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ০৭, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী – ০৩, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক – ০৫ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০১, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০২ মোট – ৫৭
৩৬তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০৬ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২৪, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৯ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০১, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক – ০২ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০৪, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০২ মোট – ৪৮

৩৮তম বিসিএস গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২৫, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৬ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০২, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ০১, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী – ০৩, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক – ০২, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী – ০২ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০৩, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০২ মোট – ৪৬
৪০তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০৫ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০২, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৪ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০১, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ০৪ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০৩, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ১৫ মোট – ৩৪
৪৫তম বিসিএস
রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০২, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ০২, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী – ০১ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ১০, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০১ খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০১ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০৫, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৪ মোট – ২৬

শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই ধারা প্রকৌশল ক্যাডারের ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলছে।

চুয়েটের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ ইকবাল বলেন,

“ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা যখন আমাদের সিনিয়র হিসেবে বসে থাকেন, তখন বিসিএস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজের পেশাগত মর্যাদা হারিয়ে যায়। এটা আমাদের জন্য অপমানজনক।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন,

“প্রমোশন দিয়ে কাউকে ক্যাডার মর্যাদা দিলে বিসিএস পরীক্ষা নামে যে প্রতিযোগিতা রয়েছে, তা অর্থহীন হয়ে পড়ে। আমরা চাই প্রকৌশল ক্যাডার হোক কেবল মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে।”

তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচিত বিসিএস পদ্ধতিতে প্রকৌশলী পদের সংখ্যা বিগত কয়েক বছরে এমনভাবে কমেছে:

বিসিএসপ্রকৌশলী পদ
৩১তম১১৮
৩৩তম৫৯
৩৫তম৫৭
৩৮তম৪৬
৪০তম৩৪
৪৫তম২৬

এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, প্রকৌশল ক্যাডারে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রমোশন নির্ভর নিয়োগ প্রবণতা বাড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি, মেধা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ ব্যবস্থার মাধ্যমেই প্রকৌশলী পদে নিয়োগ দিতে হবে। একইসঙ্গে প্রমোশনভিত্তিক ক্যাডার মর্যাদা দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং প্রকৌশল পেশার মর্যাদা রক্ষা করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নীতিগত হস্তক্ষেপ জরুরি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বিরোধ নিরসনে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, কোটা পুনর্বিন্যাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া প্রকৌশলীদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন, যা দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ব্যাহত করবে।

শেয়ার করুন

বিনা পরীক্ষায় ক্যাডার মর্যাদা? প্রকৌশল খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির ভয়াল থাবা

প্রকাশিত: ০৫:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে প্রকৌশল পদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে তীব্র অসন্তোষ। তাদের অভিযোগ, বিসিএস পদ্ধতির বাইরে প্রমোশনের মাধ্যমে ক্যাডার সমমর্যাদার পদে উত্তরণ ঘটছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের— যা প্রকৌশল পেশার ন্যায্যতা, মর্যাদা ও মেধা-নির্ভর নিয়োগ ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বর্তমানে সরকারি কাঠামোয় সহকারী প্রকৌশলী (৯ম গ্রেড) এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) নামে দুটি পদের প্রচলন রয়েছে। ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেডে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কয়েক বছরের মধ্যে ৯ম গ্রেডে প্রমোশন পাচ্ছেন, যেখানে বিসিএস পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দীর্ঘ প্রতিযোগিতা ও কঠোর পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই ব্যবস্থায় তারা প্রকৃত মেধার যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। ১০ম গ্রেডে আবেদন করতেও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি, বরং শতভাগ কোটা নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য। অথচ একই গ্রেডে অন্য যেকোনো পেশার নিয়োগে স্নাতক ডিগ্রি আবশ্যক।

বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, বিসিএস প্রকৌশল পদের সংখ্যা বছর বছর কমছে।
🔹 ৪৩তম বিসিএসে প্রকৌশলী পদ ছিল ১৭৩টি
🔹 ৪৪তমতে বেড়ে দাঁড়ায় ২৯১টি
🔹 ৪৫তম থেকে হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ১২৭টিতে
🔹 ৪৭তম বিসিএসে মাত্র ৪৬টি পদ বরাদ্দ রাখা হয়

গ্রাফ রিপ্রেজেন্টেশন ডাটা :

1000252634publician todayপাবলিকিয়ানpublician todayটুডেpublician today|publician todayবাংলাদেশpublician todayওpublician todayবিশ্বেরpublician todayসর্বশেষpublician todayসংবাদ

৩১তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০২ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ৩২, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০৪ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ২০, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ১১, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী – ০৩, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী – ০৪, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক – ০৪ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২৪, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৪ জনস্বাস্থ্য: সহকারী প্রকৌশলী – ১০ মোট – ১১৮
৩২ তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০৪ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২১, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০১ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০১, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী – ০২, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী – ০২ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ৩৬, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৭ জনস্বাস্থ্য: সহকারী প্রকৌশলী – ০৬ মোট – ৮০
৩৩ তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০৭ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০২, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০২ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০২ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ৩০, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৩ জনস্বাস্থ্য: সহকারী প্রকৌশলী – ১৩ মোট – ৫৯
৩৫তম বিসিএস
গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২৬, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৭ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০৬, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ০৭, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী – ০৩, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক – ০৫ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০১, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০২ মোট – ৫৭
৩৬তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০৬ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২৪, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৯ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০১, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক – ০২ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০৪, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০২ মোট – ৪৮

৩৮তম বিসিএস গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ২৫, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৬ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০২, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ০১, সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী – ০৩, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক – ০২, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী – ০২ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০৩, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০২ মোট – ৪৬
৪০তম বিসিএস
খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০৫ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০২, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৪ রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০১, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ০৪ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০৩, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ১৫ মোট – ৩৪
৪৫তম বিসিএস
রেলওয়ে: সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী – ০২, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী – ০২, সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী – ০১ সড়ক ও জনপথ: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ১০, সহকারী প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) – ০১ খাদ্য: সহকারী রক্ষন প্রকৌশলী – ০১ গণপূর্ত: সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) – ০৫, সহকারী প্রকৌশলী(ই/এম) – ০৪ মোট – ২৬

শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই ধারা প্রকৌশল ক্যাডারের ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলছে।

চুয়েটের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ ইকবাল বলেন,

“ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা যখন আমাদের সিনিয়র হিসেবে বসে থাকেন, তখন বিসিএস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজের পেশাগত মর্যাদা হারিয়ে যায়। এটা আমাদের জন্য অপমানজনক।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন,

“প্রমোশন দিয়ে কাউকে ক্যাডার মর্যাদা দিলে বিসিএস পরীক্ষা নামে যে প্রতিযোগিতা রয়েছে, তা অর্থহীন হয়ে পড়ে। আমরা চাই প্রকৌশল ক্যাডার হোক কেবল মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে।”

তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচিত বিসিএস পদ্ধতিতে প্রকৌশলী পদের সংখ্যা বিগত কয়েক বছরে এমনভাবে কমেছে:

বিসিএসপ্রকৌশলী পদ
৩১তম১১৮
৩৩তম৫৯
৩৫তম৫৭
৩৮তম৪৬
৪০তম৩৪
৪৫তম২৬

এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, প্রকৌশল ক্যাডারে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রমোশন নির্ভর নিয়োগ প্রবণতা বাড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি, মেধা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ ব্যবস্থার মাধ্যমেই প্রকৌশলী পদে নিয়োগ দিতে হবে। একইসঙ্গে প্রমোশনভিত্তিক ক্যাডার মর্যাদা দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং প্রকৌশল পেশার মর্যাদা রক্ষা করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নীতিগত হস্তক্ষেপ জরুরি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বিরোধ নিরসনে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, কোটা পুনর্বিন্যাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া প্রকৌশলীদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন, যা দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ব্যাহত করবে।