১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিসি একজন তবে সবকিছু অন্যজন পরিচালনা করার অভিযোগ।

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১১:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / 45

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি একজন হলেও সবকিছু সামলান আরেকজন। আর সেই ব্যক্তিটি হলেন প্রফেসর রুহুল আমীন (লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)। প্রফেসর রুহুল আমীন রাবিপ্রবি’র ভিসি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতারের স্বামী। ভিসির স্বামী হওয়ার সুবাদে তিনি রাবিপ্রবি’র খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। তবে অশ্চর্যের বিষয় হলো এই খণ্ডকালীন শিক্ষকই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণ থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন।

এবার দেখে নেওয়া যাক খণ্ডকালীন শিক্ষক পদের বাইরে রাবিপ্রবি’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রফেসর রুহুল আমীনের পদচারণা:
১। জিএসটি গুচ্ছ ভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার (২০২৩-২৪) সকল ইউনিটের বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন।
২। গবেষণা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির বহিঃসদস্য
৩। কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ পরিক্ষার বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর রুহুল আমীন।

বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা দাবী করছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের টিচার হয়ে কোনো পিএইচডি ডিগ্রি না থাকা স্বত্বেও ভিসির স্বামী রুহুল আমিন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে রিসার্চ মেথোডোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ মেথডোলজি প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণে কী নোট স্পিকার/প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে সকল শিক্ষকবৃন্দদের নিয়মিত জ্ঞান বিতরন করতে আসছেন। যার বিনিময়ে TA/DA ও প্রচুর সম্মানী নিয়ে যান। পিএইচডি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে লোক প্রশাসনের শিক্ষক হয়ে ভিন্ন বিভাগের (কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, ফরেস্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি) শিক্ষকদেরকে জ্ঞান দান করেন তা জানতে চান শিক্ষার্থীরা।

প্রফেসর রুহুল আমিন ও ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাসের দায়িত্ব পান। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে অনলাইনে ৭/৮ টি ক্লাস নিয়ে কোর্স প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তাদের গৃহীত সশরীরে ক্লাসের সংখ্যা অমাবস্যার চাঁদের মতো।

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ১৯-২০ সেশনের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও রুহুল আমীন দায়িত্ব পালন করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী ৪৫ ঘন্টা ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন তিনি ৭ মাসে ক্লাস নিয়েছেন ১৫ টি। স্বাভাবিক হিসেবে বোঝা যায় ৪৫ ঘন্টার বিপরীতে ১৫টি ক্লাস নিলে প্রতিটি ক্লাসের ব্যাপ্তি হবে ৩ ঘন্টা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মতে প্রফেসর রুহুল আমীনের একটি ক্লাসের ব্যাপ্তিকাল ছিলো এক ঘন্টা ৩০ মিনিট বা তার চেয়ে কম। তাহলে কীভাবে তিনি চুক্তি অনুযায়ী ৪৫ ঘন্টা পূরণ করেন সেই প্রশ্ন সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে। অন্যান্য যেসব বিভাগ এবং সেশনে ক্লাস নিয়েছেন তাঁদের অবস্থাও ঠিক এমনই। একইধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বয়ং ভিসির বিরুদ্ধেও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোনো কমিটি নাই যেটিতে ভিসির স্বামী প্রফেসর রুহুল আমিন নাই। শুধু টাকার(সম্মানী ও TA/DA) জন্য সব কমিটিতে স্বামী ও স্ত্রী। কমিটিতে স্বামীকে বহিঃসদস্য রাখার জন্য এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে আলাদা সম্মানী দিতে সবাইকে ফোর্স করেন রাবিপ্রবি ভিসি। একইদিনে দুইটি কমিটির কোনো প্রোগ্রামে আসলে দুইবার TA/DA নেওয়া হয় যা নিয়মবহির্ভূত। শুধু কমিটি আর কমিটি। যেখানে ভিসি প্রধান উপদেস্টা ও ভিসির স্বামী প্রফেসর রুহুল আমীন আছেন বহিঃসদস্য/ এক্সপার্ট বা অন্য কোনো পদে।

গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং নিয়োগ বাণিজ্য হয়ে থাকে। আর এই ভর্তি এবং নিয়োগ বাণিজ্য হয়ে থাকে রাবিপ্রবি ভিসি’র স্বামী রুহুল আমিন এর মাধ্যমে। ভর্তি পরীক্ষায় ও নিয়োগ পরীক্ষায় তার একচ্ছত্র বিচরণ প্রকাশ্য অথচ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামান্য একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক। জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময় অবৈধভাবে অনেক শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে ভর্তি করানোরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

রাবিপ্রবি’র এমন কোন বিষয় নাই যেখানে নাক গলান না প্রফেসর রুহুল আমীন। শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারী সবাই অতিষ্ঠ তার বিরুদ্ধে। কাউকে কোনো বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করতে দিতেন না ভিসি এবং প্রফেসর রুহুল আমীন।

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকদের প্রফেসর রুহুল আমীন সবসময় বিভিন্ন মিটিং এ প্রায়সময় সরাসরি টেলিফোনে অকথ্য ভাষায় গালি ও খারাপ ব্যবহার করে অথচ তিনি (প্রফেসর রুহুল আমীন) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক বৈ কেউ নন। ভিসি ও ভিসির স্বামী সবাইকে সবসময় বিভিন্নধরণের হুমকি দিতে থাকেন। স্বৈরাচারী নীতিতে রাবিপ্রবিকে পরিচালনা করেন ভিসি এবং তাঁর স্বামী প্রফেসর রুহুল আমীন।

রাজনৈতিক দলের সাথেও জড়িত রয়েছেন প্রফেসর রুহুল আমীন এবং রাবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ নাঙ্গলকোট উপজেলার উপদেষ্টা প্রফেসর রুহুল আমীন। অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটি (২০২২-২৪) এর সদস্য রাবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।

তবে সকল অভিযোগের বিপরীতে প্রফেসর রুহুল আমীন পাবলিকিয়ান টুডে’কে জানান রাবিপ্রবি ভিসি এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিত্যা এবং অসত্য। রাবিপ্রবি ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ায় একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল রাবিপ্রবি ভিসি এবং প্রফেসর রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি আরও জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

ভিসি একজন তবে সবকিছু অন্যজন পরিচালনা করার অভিযোগ।

প্রকাশিত: ১১:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি একজন হলেও সবকিছু সামলান আরেকজন। আর সেই ব্যক্তিটি হলেন প্রফেসর রুহুল আমীন (লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)। প্রফেসর রুহুল আমীন রাবিপ্রবি’র ভিসি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতারের স্বামী। ভিসির স্বামী হওয়ার সুবাদে তিনি রাবিপ্রবি’র খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। তবে অশ্চর্যের বিষয় হলো এই খণ্ডকালীন শিক্ষকই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণ থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন।

এবার দেখে নেওয়া যাক খণ্ডকালীন শিক্ষক পদের বাইরে রাবিপ্রবি’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রফেসর রুহুল আমীনের পদচারণা:
১। জিএসটি গুচ্ছ ভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার (২০২৩-২৪) সকল ইউনিটের বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন।
২। গবেষণা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির বহিঃসদস্য
৩। কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ পরিক্ষার বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর রুহুল আমীন।

বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা দাবী করছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের টিচার হয়ে কোনো পিএইচডি ডিগ্রি না থাকা স্বত্বেও ভিসির স্বামী রুহুল আমিন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে রিসার্চ মেথোডোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ মেথডোলজি প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণে কী নোট স্পিকার/প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে সকল শিক্ষকবৃন্দদের নিয়মিত জ্ঞান বিতরন করতে আসছেন। যার বিনিময়ে TA/DA ও প্রচুর সম্মানী নিয়ে যান। পিএইচডি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে লোক প্রশাসনের শিক্ষক হয়ে ভিন্ন বিভাগের (কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, ফরেস্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি) শিক্ষকদেরকে জ্ঞান দান করেন তা জানতে চান শিক্ষার্থীরা।

প্রফেসর রুহুল আমিন ও ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাসের দায়িত্ব পান। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে অনলাইনে ৭/৮ টি ক্লাস নিয়ে কোর্স প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তাদের গৃহীত সশরীরে ক্লাসের সংখ্যা অমাবস্যার চাঁদের মতো।

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ১৯-২০ সেশনের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও রুহুল আমীন দায়িত্ব পালন করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী ৪৫ ঘন্টা ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন তিনি ৭ মাসে ক্লাস নিয়েছেন ১৫ টি। স্বাভাবিক হিসেবে বোঝা যায় ৪৫ ঘন্টার বিপরীতে ১৫টি ক্লাস নিলে প্রতিটি ক্লাসের ব্যাপ্তি হবে ৩ ঘন্টা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মতে প্রফেসর রুহুল আমীনের একটি ক্লাসের ব্যাপ্তিকাল ছিলো এক ঘন্টা ৩০ মিনিট বা তার চেয়ে কম। তাহলে কীভাবে তিনি চুক্তি অনুযায়ী ৪৫ ঘন্টা পূরণ করেন সেই প্রশ্ন সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে। অন্যান্য যেসব বিভাগ এবং সেশনে ক্লাস নিয়েছেন তাঁদের অবস্থাও ঠিক এমনই। একইধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বয়ং ভিসির বিরুদ্ধেও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোনো কমিটি নাই যেটিতে ভিসির স্বামী প্রফেসর রুহুল আমিন নাই। শুধু টাকার(সম্মানী ও TA/DA) জন্য সব কমিটিতে স্বামী ও স্ত্রী। কমিটিতে স্বামীকে বহিঃসদস্য রাখার জন্য এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে আলাদা সম্মানী দিতে সবাইকে ফোর্স করেন রাবিপ্রবি ভিসি। একইদিনে দুইটি কমিটির কোনো প্রোগ্রামে আসলে দুইবার TA/DA নেওয়া হয় যা নিয়মবহির্ভূত। শুধু কমিটি আর কমিটি। যেখানে ভিসি প্রধান উপদেস্টা ও ভিসির স্বামী প্রফেসর রুহুল আমীন আছেন বহিঃসদস্য/ এক্সপার্ট বা অন্য কোনো পদে।

গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং নিয়োগ বাণিজ্য হয়ে থাকে। আর এই ভর্তি এবং নিয়োগ বাণিজ্য হয়ে থাকে রাবিপ্রবি ভিসি’র স্বামী রুহুল আমিন এর মাধ্যমে। ভর্তি পরীক্ষায় ও নিয়োগ পরীক্ষায় তার একচ্ছত্র বিচরণ প্রকাশ্য অথচ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামান্য একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক। জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময় অবৈধভাবে অনেক শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে ভর্তি করানোরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

রাবিপ্রবি’র এমন কোন বিষয় নাই যেখানে নাক গলান না প্রফেসর রুহুল আমীন। শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারী সবাই অতিষ্ঠ তার বিরুদ্ধে। কাউকে কোনো বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করতে দিতেন না ভিসি এবং প্রফেসর রুহুল আমীন।

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকদের প্রফেসর রুহুল আমীন সবসময় বিভিন্ন মিটিং এ প্রায়সময় সরাসরি টেলিফোনে অকথ্য ভাষায় গালি ও খারাপ ব্যবহার করে অথচ তিনি (প্রফেসর রুহুল আমীন) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক বৈ কেউ নন। ভিসি ও ভিসির স্বামী সবাইকে সবসময় বিভিন্নধরণের হুমকি দিতে থাকেন। স্বৈরাচারী নীতিতে রাবিপ্রবিকে পরিচালনা করেন ভিসি এবং তাঁর স্বামী প্রফেসর রুহুল আমীন।

রাজনৈতিক দলের সাথেও জড়িত রয়েছেন প্রফেসর রুহুল আমীন এবং রাবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ নাঙ্গলকোট উপজেলার উপদেষ্টা প্রফেসর রুহুল আমীন। অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটি (২০২২-২৪) এর সদস্য রাবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।

তবে সকল অভিযোগের বিপরীতে প্রফেসর রুহুল আমীন পাবলিকিয়ান টুডে’কে জানান রাবিপ্রবি ভিসি এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিত্যা এবং অসত্য। রাবিপ্রবি ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ায় একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল রাবিপ্রবি ভিসি এবং প্রফেসর রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি আরও জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দিয়েছেন।