দেশ সংস্কারের সাথে এবার নিজ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের দিকে নজর দিয়েছেন শেকৃবি শিক্ষার্থীরা। পুরাতন পাঠ্যক্রম এর সাথে ক্যাম্পাসের নানা অসঙ্গতি রুখতে এবার ১৫টি দাবি নিয়ে মাঠে সরব শেকৃবি শিক্ষার্থীরা।

আজ বেলা ১০:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে টিএসসিতে এই গণসংযোগ শুরু হয়। এসময় ১৫ টি দাবি নিয়ে ছাত্র প্রতিনিধিরা কথা বলে এবং সকল শিক্ষার্থীদের মতামত নেয়া হয়।

১.সকল প্রকার বঙ্গ,ছাত্র,শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ছাত্র সংসদ ও শিক্ষক সমিতি গঠন করতে হবে।

২।রানিং ব্যাচগুলোর কোর্স কারিকুলাম মডিফিকেশন করে আধুনিক ও বিজ্ঞানসমৃদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতি প্রনয়ন এবং সেশন জট কমানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনে মিড টার্ম সিস্টেম করে ৪ মাসের ভিতর সেমিস্টার কমপ্লিট করতে হবে।

৩।প্র্যাক্টিকাল খাতা লেখার নিয়ম সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। ফিল্ড ওয়ার্ক,এসাইনমেন্ট,প্রেজেন্টেশন পদ্ধতি প্রণয়ন করা যেতে পারে ।প্রাক্টিক্যাল এর ক্ষেত্রে বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের জন্য একজন নির্দিষ্ট কোর্স টিচার পদ্ধতি বাদ দিতে হবে।

৪।ক্যারি অন সিস্টেম প্রণয়ন(নির্দিষ্ট ক্রেডিট পর্যন্ত) ও ইম্প্রুভমেন্ট এর ব্যবস্থা করতে হবে।

৫।সকল ক্লাসরুমে এসি,পর্যাপ্ত ফ্যান,সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টর এর ব্যবস্থা করতে হবে । ফ্যাকাল্টিগুলো তে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাসরুম,ওয়াশরুম,সুপেয় পানির ব্যাবস্থা করতে হবে।

৭।প্রত্যেক ফ্যাকাল্টির বাধ্যতামূলক ইন্টার্নিশিপ ও গবেষণাপত্রের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৮.প্রতি বছর নূন্যতম ২ বার জব ফেয়ার এর আয়োজন করতে হবে,ফরেন স্কলারশিপ ডেডলাইন পাবলিশ করতে হবে।

৯.সকল স্টুডেন্ট কে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল দিতে হবে,সেমিস্টার ফাইনালের ১ মাসের ভিতর রেজাল্ট পাবলিশ করতে হবে,সেমিস্টার ফাইনালের পূর্বেই মিড/সিটি পরীক্ষার নম্বর স্টুডেন্ট পোর্টালে আপডেট করতে হবে। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আসন্ন সেমিস্টারের সকল কোর্স মেটেরিয়াল আগে থেকে আপলোড করতে হবে।

১০।স্ব স্ব ফ্যাকাল্টির দাবিসমূহ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।

১১।ক্যাম্পাস থেকে অনতিবিলম্বে বস্তি উচ্ছেদ করতে হবে।

১২।গবেষণার ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের স্বার্থে বাণিজ্য মেলার মাঠের বিষয়ে আশু পদক্ষেপ নিতে হবে।
১৩।সকল রুটে বাস চালু করা।

১৪।নিয়মিত ভাবে সমাবর্তন ও ডীনস এওয়ার্ড চালু করা।

১৫ । শিক্ষকবৃন্দের অ্যানুয়াল পারফরমেন্স ইনডেক্স (এ পি আই /এ সি আর) এর বিশ শতাংশ নম্বর শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী মূল্যায়িত হবে।

এই দাবিগুলো ছাড়াও আরো কিছু দাবি উঠে আসে এই গণসংযোগে। শিক্ষার্থীরা জানান, “আমাদের এই দাবি সম্পন্ন হলে সকল শিক্ষার্থীরা আরো সামনে এগিয়ে দেশকে নেতৃত্ব দানে সহায়তা করতে পারবে।”

শাহরিয়ার ইমন
শেকৃবি