হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( হাবিপ্রবি) গত ৩রা সেপ্টেম্বর আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ। দায়িত্ব পাওয়ার একদিন পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনসহ আর্থিক দিককে সচল রাখতে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির এবং পরিচালক অর্থ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ এরফান আলী খোন্দকারকে।

বৃহস্পতিবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজের অনুমোদনক্রমে ডেপুটি রেজিস্ট্রার ( সংস্থাপন) মো. মজিবর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

পৃথক দুটি অফিস আদেশে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদে নিযুক্ত অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান অব্যাহতি প্রার্থনা করায় তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হল এবং তদস্থলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির কে নিযুক্ত করা হল। অপর আরেকটি আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পদে নিযুক্ত মোঃ মিজানুর রহমান, উপ-পরিচালক ( হিসাব) তার উপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে তদস্থলে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ এরফান আলী খোন্দকারকে পরিচালক অর্থ পদে নিযুক্ত করা হল।

দায়িত্ব পাওয়ার পর অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞ যে, তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য আমাকে যোগ্য মনে করেছেন এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পালন করার জন্য আমাকে মনোনীত করেছেন। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ স্যারকে। তিনি আমার উপর আস্থা রেখেছেন। সামনের দিনগুলোতে আমি সবাইকে সাথে নিয়ে, সবার পরামর্শের ভিত্তিতে একটি আদর্শ প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। আমিও নিজেও চাই যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানগুলোতে পদায়ন করা হোক। সবশেষে আমি সকলের সহযোগিতায় একাডেমিক ভাবে, প্রশাসনিক ভাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নেন্স বডিকে একটি আদর্শ বডিতে পরিণত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

হাবিপ্রবির পরিচালক অর্থ হিসাবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক ড. মোঃ এরফান আলী খোন্দকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আর্থিক সুবিধাগুলো রয়েছে সেগুলো অতি দ্রুত বেগবান করবো। যেহেতু আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে আমার ‘ হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি ইনভেস্টমেন্ট’ এর ২৫০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট বাস্তবায়নের একটি পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

মো. রাফিউল হুদা/হাবিপ্রবি