রাতে বন্ধুর সাথে ছাত্রাবাসে এসে ইবি ছাত্রী আটক
- প্রকাশিত: ০৮:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
- / 39
ইবি প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেইট সংলগ্ন তিনবোন নামক ছাত্রাবাসে এক ছাত্রীকে আটক করেছে উক্ত ছাত্রাবাস মালিক এবং এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ধ্যা (ছদ্মনাম) নামক উক্ত ছাত্রী তার বন্ধুর সাথে ছাত্রাবাসে এসেছিলো বলে জানা যায়।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে তিনবোন ছাত্রাবাসে ছাত্রীকে দেখতে পেয়ে উক্ত ছাত্রাবাসের মালিক ও আশেপাশের লোকজন গিয়ে মেয়েকে মেয়ে এবং তার ছেলে বন্ধুকে আটক করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১৯-২০ বর্ষের এক শিক্ষার্থী উক্ত রুমে ভাড়া থাকতেন। তারই পরিচিত ছোটভাই তার মেয়ে বান্ধবীকে নিয়ে রাত্রে তার রুমে যায়। এক পর্যায়ে মেয়েকে রুমে রেখে সে বাইরে খাবার আনতে গেলে ছাত্রাবাস মালিক এবং এলাকাবাসী টের পেয়ে এসে মেয়েকে দেখতে পায়। পরবর্তীতে তানবির (ছদ্মনাম) আসলে উভয়কে আটক করেন তাঁরা। পরবর্তীতে মেয়েকে ছাত্রাবাসের মালিক নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে নিজের (মালিকের) বাসায় নিয়ে যান এবং ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা আশ্রাফের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কাছে হস্তান্তর করেন। ছেলেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা তাদের হেফাজতে রাখেন।
ছাত্রাবাস মালিক মিজানুর রহমান জানান, তিনি ছাত্রাবাসের সামনে লোকজনের জটলা দেখে এগিয়ে গেলে তারা জানায় যে, তাঁর (ছাত্রাবাস মালিক) ছাত্রাবাসে মেয়ে আছে। তখন দরজায় নক করলে ভিতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। পরবর্তীতে মেয়ের বন্ধু (তানবির) আসলে দরজা খোলা হয় এবং তাদেরকে আলাদা করে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্ররা গিয়ে তানবিরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসে। পাশাপাশি মেয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে নিজের বাসায় আজকে রাত্রের জন্য রেখে দেন।
আটককৃত মেয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, সে পার্শ্ববর্তী নুর জাহান ছাত্রীবাসে থাকে। আজকে বান্ধবীর মেসে থাকার জন্য ছুটি নিয়ে সন্ধ্যায় বের হয়। পরবর্তীতে তানবির তাকে এখানে নিয়ে আসে এবং এখানে থাকতে বলে। তাকে রেখে বাইরে গেলে সে ওয়াশরুমে যায় এবং এর মধ্যেই বাইরে হট্টগোল শোনা যায়। পরবর্তীতে তানবির আসলে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে মেয়ের বন্ধু বলেন, এইটা আমার বিভাগের বড় ভাইয়ের রুম। আমি নিজেও এই রুমে কয়েকদিন ধরে গেস্ট হিসেবে ছিলাম। ভাইরা থাকেনা বলে আমি থাকতাম। আজকে ও আমার সাথে বাইরে ছিলো। তো ওয়াশরুম ব্যবহার করার জন্য আসছিলো। আমি বলছিলাম ওয়াশরুম ইউজ করে চলে আয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা আশ্রাফ তানবির পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের কাছে দিয়ে যান।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে লালন শাহ হলে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল প্রক্টরিয়াল বডির সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে বিস্তারিত বলা যাবে।
নূর ই আলম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।