১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১০:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • / 27

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোর ৪ টা নাগাদ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলগেট এলাকায় আপ্যায়ন নামে এক দোকানে হামলা করে। এরপর আশপাশের আরও কিছু দোকানপাটে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে ও ককটেল ফোটায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে আশপাশের লোকজনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার মাঝে।

স্থানীয়রা জানান, খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় যায় এবং বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও সশস্ত্র হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। চবিতে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের স*ন্ত্রাসী হামলায় আহত ৫ শিক্ষার্থী। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে পুরোদিন ক্যম্পাসে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজমান।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন-

১. ইয়াসিন আরাফাত, আইএমএল, ২০২১-২২ (পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি)
২. মুজাহিদুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ, ২০১৮-১৯
৩. মোনায়েম শরীফ, লোকপ্রশাসন, ২০১৯-২০
৪. আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইসলামিক স্টাডিজ, ২০২০-২১
৫. নাজমুল হাসান, আরবি বিভাগ ২০২২-২৩।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, ক্যাম্পাসে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বোমাবাজি করছে শুনে সকালেই আমরা জিরো পয়েন্টে আসি। পুলিশের জন্য অপেক্ষা করলেও রেলগেটে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নেওয়ায় তারা আসতে পারছে না বলে শোনা যায়। পরে আমরা শিক্ষার্থীরা প্রক্টর সহকারে রেলগেট এলাকায় যাই এবং অবস্থান নেই। এসময় যুবলীগের ক্যাডাররা আমাদের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে আমরা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, স্থানীয় একজনের দোকানে সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর চালালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। রাত ৪টায় এখানে প্রচুর ককটেল ফোটানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সন্ত্রাসীরা গুজব রটিয়ে দেয় এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সকালে আমরাসহ শিক্ষার্থীরা রেলগেট এলাকায় যাই। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে। দুপুর দুটায় একটি মিটিং হবে, যেখানে এলাকার গণ্যমান্য তিন ব্যক্তি, ছাত্র প্রতিনিধি ও আমরা প্রক্টরিয়াল বডি থাকবো। মিটিং থেকে একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করা যায়।

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র হামলা

প্রকাশিত: ১০:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোর ৪ টা নাগাদ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলগেট এলাকায় আপ্যায়ন নামে এক দোকানে হামলা করে। এরপর আশপাশের আরও কিছু দোকানপাটে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে ও ককটেল ফোটায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে আশপাশের লোকজনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার মাঝে।

স্থানীয়রা জানান, খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় যায় এবং বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও সশস্ত্র হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। চবিতে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের স*ন্ত্রাসী হামলায় আহত ৫ শিক্ষার্থী। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে পুরোদিন ক্যম্পাসে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজমান।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন-

১. ইয়াসিন আরাফাত, আইএমএল, ২০২১-২২ (পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি)
২. মুজাহিদুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ, ২০১৮-১৯
৩. মোনায়েম শরীফ, লোকপ্রশাসন, ২০১৯-২০
৪. আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইসলামিক স্টাডিজ, ২০২০-২১
৫. নাজমুল হাসান, আরবি বিভাগ ২০২২-২৩।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, ক্যাম্পাসে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বোমাবাজি করছে শুনে সকালেই আমরা জিরো পয়েন্টে আসি। পুলিশের জন্য অপেক্ষা করলেও রেলগেটে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নেওয়ায় তারা আসতে পারছে না বলে শোনা যায়। পরে আমরা শিক্ষার্থীরা প্রক্টর সহকারে রেলগেট এলাকায় যাই এবং অবস্থান নেই। এসময় যুবলীগের ক্যাডাররা আমাদের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে আমরা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, স্থানীয় একজনের দোকানে সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর চালালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। রাত ৪টায় এখানে প্রচুর ককটেল ফোটানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সন্ত্রাসীরা গুজব রটিয়ে দেয় এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সকালে আমরাসহ শিক্ষার্থীরা রেলগেট এলাকায় যাই। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে। দুপুর দুটায় একটি মিটিং হবে, যেখানে এলাকার গণ্যমান্য তিন ব্যক্তি, ছাত্র প্রতিনিধি ও আমরা প্রক্টরিয়াল বডি থাকবো। মিটিং থেকে একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করা যায়।