নোবিপ্রবি তে মুজিববাদের চিহ্ন মোচন ও হাসিনাবিন কর্মসূচি পালন
- প্রকাশিত: ০৩:১৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 36
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :মিরাজ মাহমুদ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) তে মুজিববাদের চিহ্ন বিলোপ সহ বিভিন্ন স্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ময়লার ডাস্টবিন স্থাপন করেছে শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্মৃতি স্মারক জয় বাংলা ভাষ্কর্য থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত অংশ ভেঙ্গে ফেলে শিক্ষার্থীরা এর পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডাস্টবিনগুলোতে শেখ হাসিনার ছবি লাগিয়ে ‘হাসিনাবিন’ হিসেবে নামকরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মুজিববাদের নিশানা মুছে ফেলার অংশ হিসেবে এবং শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করেন বলে জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জয় বাংলা ভাষ্কর্যে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির ফলক হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে শিক্ষার্থীরা এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে সকল ডাস্টবিনগুলো একত্রিত করে সেখানে ব্যাঙ্গ চিত্রের স্টিকার লাগানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী বনি ইয়ামিন বলেন, মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয় যেটি পরবর্তীতে বিভিন্ন সুশীলদের কারণে মুছে ফেলা হয় পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সেটি পুনঃরায় অঙ্কন করা হয়। ইতিমধ্যে আমরা বই মেলাও খুনি হাসিনার এমন ব্যঙ্গচিত্র গুলো দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন ডাস্টবিনে যাতে জাতি তাকে নিকৃষ্ট ভাবে স্মরণ করে। গত ১৬ বছরের জুলুম নির্যাতন ও আমাদের শহীদদের রক্ত খুনি হাসিনা হাতে লেগে আছে জাতি যাতে তাদের ঘৃণার সাথে স্মরণ করে সেজন্য আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে এমনটা ব্যাবস্থা করেছি। এছাড়াও ধানমন্ডি ৩২ সহ দেশের যেখানেই মুজিববাদের চিহ্ন আছে সব ধ্বংস করা হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে আমরা শেখ মুজিবের ছবি ভাঙ্গার কর্মসূচি ও পালন করেছি।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন: সারাদেশের সাথে নোবিপ্রবিতেও শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারের চিহ্ন বিলোপ সাধনে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা মনে করে,স্বৈরাচারের চিহ্ন মনে ভীতি ও অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া স্বৈরাচারের চিহ্ন বিলোপ গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য। এটি একধরনের প্রতীকী ও বাস্তবিক পদক্ষেপ যা জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কাউসার আহমেদ হিমেল বলেন, স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান জানান দিতে ক্যাম্পাসের ডাস্টবিনগুলোকে “হাসিনা বিন” এ পরিণত করেছি। এটি শুধু একটি প্রতীকী প্রতিবাদ নয়, এটি আমাদের ঘৃণা ও প্রতিরোধের প্রতিফলন। স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে যে বিজয় শিক্ষার্থীরা অর্জন করেছে, তা আমাদের সকলকে সমুন্নত রাখতে হবে!