০৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ এশিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছে: ঢাবি অধ্যাপক

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৪:০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 20

বিশেষ প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়া ধীরে ধীরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছে। মালদ্বীপ, পাকিস্তান এবং ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একসময়ে যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল, তারা পরাজিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গ্যালারি কক্ষে আয়োজিত “দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা: কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ না গণতন্ত্র” শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মালদ্বীপে একসময় রাজতন্ত্র বিদ্যমান থাকলেও বর্তমানে গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের মধ্যে শাসন ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের ভীতি রয়েছে, যা একটি নেতিবাচক দিক। বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক, ছাত্র, ইমাম এবং গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সরকারের তোষামোদে ব্যস্ত ছিলেন, যা ফ্যাসিবাদকে উৎসাহিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের তিনটি নির্বাচনে জনগণের মতামতের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। এটি সমগ্র সমাজের ব্যর্থতা এবং এর ফলস্বরূপ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। সেমিনারে তিনি একটি জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের ওপর জোর দেন, যেখানে কোনো সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী রেজুয়ান হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মোছা. রাজিয়া সুলতানা ও মো. সাইফুল ইসলাম এবং প্রভাষক মুনমুন আক্তার ও জামিলুর রহমান।

শেয়ার করুন

দক্ষিণ এশিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছে: ঢাবি অধ্যাপক

প্রকাশিত: ০৪:০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়া ধীরে ধীরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছে। মালদ্বীপ, পাকিস্তান এবং ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একসময়ে যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল, তারা পরাজিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গ্যালারি কক্ষে আয়োজিত “দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা: কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ না গণতন্ত্র” শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মালদ্বীপে একসময় রাজতন্ত্র বিদ্যমান থাকলেও বর্তমানে গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের মধ্যে শাসন ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের ভীতি রয়েছে, যা একটি নেতিবাচক দিক। বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক, ছাত্র, ইমাম এবং গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সরকারের তোষামোদে ব্যস্ত ছিলেন, যা ফ্যাসিবাদকে উৎসাহিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের তিনটি নির্বাচনে জনগণের মতামতের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। এটি সমগ্র সমাজের ব্যর্থতা এবং এর ফলস্বরূপ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। সেমিনারে তিনি একটি জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের ওপর জোর দেন, যেখানে কোনো সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী রেজুয়ান হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মোছা. রাজিয়া সুলতানা ও মো. সাইফুল ইসলাম এবং প্রভাষক মুনমুন আক্তার ও জামিলুর রহমান।