০৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইবিতে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মতবিনিময়

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৮:৪০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • / 72

ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় রক্তাক্ত হওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বারবার নির্যাতিত ও কারাবরণকারী এই ব্যক্তির সাথে উন্মুক্ত মতবিনিময় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদ দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, যে কুষ্টিয়া শহর থেকে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রক্তাক্ত করে বের করে দেয়া হয়েছিল সেই কুষ্টিয়া শহরেই আজ তিনি মাথা উঁচু করে সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছেন। এর চেয়ে গর্বের আর কি হতে পারে। যে রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করতে পেরেছি, সেই স্বাধীনতা আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। মাহমুদুর রহমান মানেই ন্যায় ও সততার নাম। সত্যের পক্ষে কথা বলে তিনি যেভাবে বারবার হামলা মামলার শিকার ও রক্তাক্ত হয়েছেন তা আমাদের জন্য উদাহরণস্বরূপ।

দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৫ই আগস্ট এক অভূতপূর্ব ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছে যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে ১৬ বছর ধরে চেপে বসা এক জালিম শাহির পতন হয়েছে। এই সরকার ছিল একটি ফ্যাসিস্ট সরকার, দেশবিরোধী সরকার ও ইসলামবিরোধী সরকার। এ সরকার পরিচালিত হয়েছে দিল্লি থেকে। এর একটি সংক্ষিপ্ত প্রমাণ হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে এসেছিলেন দিল্লি থেকে, আবার ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কাপুরুষের ন্যায় পালিয়েও গেছেন সেই দিল্লিতেই। যে প্রভু তাকে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য, ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য সেই প্রভুর কাছেই তিনি পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার খুবই স্লো এটা তাদের প্রবলেম। এখনো আমরা ভারতের কাছে জোরালো দাবি করতে পারি না যে হাসিনাকে ফেরত দিয়ে দাও বাংলাদেশে, কোন অধিকারে হাসিনা ভারতে বসে আছে। ভারত এখনো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় নাই। রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ার পরেও কোন অধিকারের হাসিনা এখনো ভারতে থাকে। সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে হাসিনা ভারতে বসে আছে এবং বাংলাদেশের যে শত শত মন্ত্রী এমপি ভারতে বসে আছে, এর বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। ভারতীয় হাইকমিশনকে ডেকে বলতে হবে যে হাসিনা অপরাধী। আজকে আমার মামলার এক নম্বর আসামি হাসিনা। মামলা করার পর আমি দাবি জানাবো ভারত থেকে হাসিনাকে এরেস্ট করে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে।

নূর ই আলম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

ইবিতে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মতবিনিময়

প্রকাশিত: ০৮:৪০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় রক্তাক্ত হওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বারবার নির্যাতিত ও কারাবরণকারী এই ব্যক্তির সাথে উন্মুক্ত মতবিনিময় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদ দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, যে কুষ্টিয়া শহর থেকে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রক্তাক্ত করে বের করে দেয়া হয়েছিল সেই কুষ্টিয়া শহরেই আজ তিনি মাথা উঁচু করে সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছেন। এর চেয়ে গর্বের আর কি হতে পারে। যে রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করতে পেরেছি, সেই স্বাধীনতা আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। মাহমুদুর রহমান মানেই ন্যায় ও সততার নাম। সত্যের পক্ষে কথা বলে তিনি যেভাবে বারবার হামলা মামলার শিকার ও রক্তাক্ত হয়েছেন তা আমাদের জন্য উদাহরণস্বরূপ।

দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৫ই আগস্ট এক অভূতপূর্ব ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছে যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে ১৬ বছর ধরে চেপে বসা এক জালিম শাহির পতন হয়েছে। এই সরকার ছিল একটি ফ্যাসিস্ট সরকার, দেশবিরোধী সরকার ও ইসলামবিরোধী সরকার। এ সরকার পরিচালিত হয়েছে দিল্লি থেকে। এর একটি সংক্ষিপ্ত প্রমাণ হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে এসেছিলেন দিল্লি থেকে, আবার ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কাপুরুষের ন্যায় পালিয়েও গেছেন সেই দিল্লিতেই। যে প্রভু তাকে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য, ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য সেই প্রভুর কাছেই তিনি পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার খুবই স্লো এটা তাদের প্রবলেম। এখনো আমরা ভারতের কাছে জোরালো দাবি করতে পারি না যে হাসিনাকে ফেরত দিয়ে দাও বাংলাদেশে, কোন অধিকারে হাসিনা ভারতে বসে আছে। ভারত এখনো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় নাই। রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ার পরেও কোন অধিকারের হাসিনা এখনো ভারতে থাকে। সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে হাসিনা ভারতে বসে আছে এবং বাংলাদেশের যে শত শত মন্ত্রী এমপি ভারতে বসে আছে, এর বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। ভারতীয় হাইকমিশনকে ডেকে বলতে হবে যে হাসিনা অপরাধী। আজকে আমার মামলার এক নম্বর আসামি হাসিনা। মামলা করার পর আমি দাবি জানাবো ভারত থেকে হাসিনাকে এরেস্ট করে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে।

নূর ই আলম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়