রেল অবরোধে উত্তাল বাকৃবি, প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ছয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি
- প্রকাশিত: ১১:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / 384
কৃষিবিদদের প্রতি বৈষম্যের অবসান ও ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে ৬ দফা দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বাকৃবি ক্যাম্পাস। সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে শুরু করেন বিক্ষোভ সমাবেশ। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে রওনা হয়ে জব্বারের মোড় এলাকায় গিয়ে অবরোধ করেন ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ। ফলে রেল চলাচলে চরম ব্যাঘাত ঘটে। ফাতেমানগরে আটকে পড়ে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস, আর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া হাওর এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়ে ময়মনসিংহ স্টেশনে।
আরো পড়ুনঃ ডিআইইউতে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি আসছে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। তাঁদের মধ্যস্থতায় প্রায় দুই ঘণ্টার অবরোধের পর দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা, স্বাভাবিক হয় রেল চলাচল।
পরে দুপুর সোয়া ২টায় উপাচার্যের মাধ্যমে এবং বিকেল ৪টায় ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের হাত ধরে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ৬ দফা দাবির স্মারকলিপি তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী নাজমুল আলম নোবেল বলেন, “ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা যদি কীসের ভিত্তিতে ভর্তির দাবি করে, সেটি শিক্ষার ন্যায্যতা ও কৃষি শিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা আমাদের মত কষ্ট করে ভর্তি পরীক্ষাও দেয়নি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়া কত কষ্ট সেটা তারা বুঝবে কেমনে?!”
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে আমার অনুরোধ যেন মেসেজটা আজকে পৌঁছে যায়। ইউনিভার্সিটিতে পড়া গ্র্যাজুয়েট এবং ডিপ্লোমাধারী দের তুলনা সেটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। কোন রকম অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয় সেটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:
১। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ (বিএডিসি) অন্যান্য সব গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেড (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
২। ডিএই ও অন্যান্য কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ৯ম ও অন্যান্য গ্রেডে নিয়মিত রি-ভিজিট ও পদবৃদ্ধি করতে হবে।
৩। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত ৯ম গ্রেডে (বিএডিসির কোটা বাতিল) পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে স্বতন্ত্র পদসোপান/ প্রচলিত কাঠামো রাখতে হবে।
৪ । কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন কোন বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
৫। কৃষি/কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে “কৃষিবিদ” পদবি ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৬। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (ডিএই) এর অধীনেই রাখতে হবে।